যখন আমি SaaS প্রোডাক্টের মার্কেট পেনিট্রেশন নিয়ে কাজ শুরু করি, তখন প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ব্যবহারকারীদের প্রোডাক্টে আগ্রহী করা। নতুন SaaS প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে শুধু ট্রায়াল অফার করাই যথেষ্ট নয়, বরং সেটাকে সাবস্ক্রিপশনে রূপান্তর করার জন্য নির্দিষ্ট কৌশল প্রয়োজন।
৯৭ ফ্রি ট্রায়াল থেকে ১৩টি সাবস্ক্রিপশন…
যখন আমি SaaS প্রোডাক্টের মার্কেট পেনিট্রেশন নিয়ে কাজ শুরু করি, তখন প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ব্যবহারকারীদের প্রোডাক্টে আগ্রহী করা। নতুন SaaS প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে শুধু ট্রায়াল অফার করাই যথেষ্ট নয়, বরং সেটাকে সাবস্ক্রিপশনে রূপান্তর করার জন্য নির্দিষ্ট কৌশল প্রয়োজন।
১. কনটেন্ট তৈরি এবং টার্গেটিং
প্রথমেই, আমি ফেসবুক এবং লিংকডইনের মাধ্যমে টার্গেটেড অ্যাড চালু করি। ফেসবুকের ক্ষেত্রে, ফ্রিল্যান্সার এবং ছোট ব্যবসার মালিকদের টার্গেট করেছি। আমার পরামর্শ হবে, আপনি যদি এই ধরনের গ্রাহকদের টার্গেট করতে চান, তবে আপনার কনটেন্টে তাদের সমস্যা ও সমাধান স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, ডেমো ভিডিও এবং ইনফোগ্রাফিক্স খুব কার্যকর হতে পারে। আপনার কনটেন্ট এমনভাবে তৈরি করুন যাতে গ্রাহকরা দেখতে পায় কিভাবে প্রোডাক্টটি তাদের সময় বাঁচাবে এবং কাজের গতি বাড়াবে।
ভিডিও কনটেন্ট এবং ইনফোগ্রাফিক্স ব্যবহার করলে, গ্রাহকের সমস্যার সমাধান এবং প্রোডাক্টের সুবিধাগুলো সহজভাবে তুলে ধরুন।
কন্টেন্টের মধ্যে গ্রাহকের সমস্যাগুলোর দিকে ফোকাস রেখে কীভাবে আপনার প্রোডাক্ট তাদের সাহায্য করতে পারে তা দেখান।
২. বাজেট এলোকেশন
বাজেট কীভাবে স্পেন্ড করবেন সেটাকে ফ্লেক্সিবল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আমার ক্ষেত্রে, প্রথমে ফেসবুকের জন্য বেশি বাজেট রেখেছিলাম, কারণ ফেসবুক থেকে বেশি ট্রাফিক আসছিল। তবে, যখন লিংকডইন থেকে ভালো সাড়া পেতে শুরু করি, তখন বাজেটের একটি অংশ লিংকডইনে সরিয়ে নিই।
আপনার ক্যাম্পেইনগুলোতে রিয়েল টাইম এনালাইসিস করার মাধ্যমে বাজেট শিফট করতে হবে, যাতে প্রতিটি চ্যানেলে সর্বাধিক ROI পাওয়া যায়।
আপনার ক্যাম্পেইন চালানোর সময় নিয়মিত পারফরম্যান্স মনিটর করুন এবং ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বাজেট পরিবর্তন করুন।
ফেসবুক এবং লিংকডইন দুটিকেই টেস্ট করুন এবং দেখুন কোন প্ল্যাটফর্ম আপনার টার্গেট গ্রাহকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছে।
৩. ফলো-আপ কৌশল
ট্রায়াল সাইন-আপের পর ব্যবহারকারীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা অপরিহার্য। আমি MailChimp ব্যবহার করে ইমেল ফলো-আপ করেছি, যা ব্যবহারকারীদের সাহায্য করেছে প্রোডাক্টটি নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বাড়াতে। ফলো-আপের মাধ্যমে ইউজারদের জানাতে হবে, আপনি তাদের ফিডব্যাকতে খুব মনোযোগ দিচ্ছেন এবং তাদের আপডেটের ভ্যালু আপনার কাছে অনেক বেশি।
ফলো-আপ ইমেলগুলো পার্সোনালাইজড করুন। এভাবে ব্যবহারকারীরা ফিল করবে যে আপনি তাদের প্রয়োজন বুঝতে পারছেন এবং সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত।
ফলো-আপ ইমেইল এবং ইন-অ্যাপ মেসেজিং ব্যবহার করে তাদেরকে প্রোডাক্টের গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো দেখান এবং যেকোনো সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দিন।
৪. ডিসকাউন্ট অফার এবং ওয়েবিনার
সপ্তাহে একবার ডেমো সেশন রেখেছিলাম, যাতে সম্ভাব্য গ্রাহকদের প্রোডাক্টের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো যায়। ট্রায়ালের শেষ দিকে ২০% ডিসকাউন্ট অফার দেওয়া হয়েছে, যা সাবস্ক্রিপশনে রূপান্তর করতে সাপোর্ট করেছে।
ওয়েবিনার এবং ডেমো সেশন ব্যবহার করুন ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং তাদের আগ্রহ বাড়াতে।
ট্রায়ালের শেষ দিকে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট অফার রাখুন, যাতে গ্রাহকরা সাবস্ক্রিপশনে আগ্রহী হয়। ডিস্কাউন্ট অফার টাকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করতে পারেন, একটায় কাজ না হলে অন্যটা অফার করুন, এভাবে ২ বা ৩ বারে অফার থ্রু করতে পারেন।
এই কৌশলের মাধ্যমে আমি ৯৭টি ট্রায়াল ইউজারের মধ্যে ১৪টি সাবস্ক্রিপশন পেয়েছি, যা প্রায় ১৩% কনভার্সন রেট। SaaS ইন্ডাস্ট্রিতে সাধারণত ১০-১৫% কনভার্সন রেট স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই এই কনভার্সন রেট যথেষ্ট ভালো ছিল। আর মূল বিষয় হল নতুন প্রোডাক্ট হিসেবে এই ১৪ টা সাবস্ক্রিপশন সংখ্যায় অনেক কম হলেও পুরো ফর্মুলা টা পরবর্তি সাবস্ক্রিপশনে দারুন কাজে দিবে। ইউজার ইউজ করলেই মাউথ অফ মার্কেটিং টাও শুরু হয়।
টুলস ব্যবহারের তালিকাঃ
Facebook Ads Manager: টার্গেটেড ফেসবুক অ্যাড চালানোর জন্য।
LinkedIn Campaign Manager: লিংকডইন অ্যাড চালানোর জন্য।
Google Analytics: ওয়েবসাইট ট্রাফিক মনিটর এবং বিশ্লেষণ করার জন্য।
MailChimp: ইমেল মার্কেটিং এবং ফলো-আপের জন্য।
Hotjar & Clarity: ইউজার বিহেভিয়ার ট্র্যাক করার জন্য।
Zoom: ওয়েবিনার এবং ডেমো সেশন পরিচালনার জন্য।
Zapier: ইমেল অটোমেশন এবং CRM ইন্টিগ্রেশন পরিচালনার জন্য।
Intercom: ইন-অ্যাপ মেসেজিং এবং ইউজার সাপোর্টের জন্য।