দুইটি বিষয় শেয়ার করতে চাইছি।
বিষয় ১ঃ অমুক মার্কেটার
আগে ভাবতাম অমুক অনলাইন বিজনেস, অমুক ব্র্যান্ডের পেছনে যারা কাজ করে তারা না জানি কত বিশাল এক্সপার্ট, অভিজ্ঞ। না জানি তারা কত শত গবেষণা করে। মাস শেষে লাখ কোটি টাকার মিডিয়া বায়িং করে।
কথা সত্য।
তবে এর অংশ ১-৩%।
এদের সার্ভিস নিতে গেলে আপনাকে মাসের পর মাস ওয়েটিং লিস্টে অপেক্ষা করতে হবে।
উনারা যেভাবে বলবে আপনাকে ঠিক সেভাবেই কাজ করতে হবে।
তাদের সেলসের ওপর কি প্রেসার দিবেন, তাদের কাজ দিলে উল্টো আপনার প্রেসার বেড়ে যাবে।
দূর থেকে এদের আপনার মনে হবে খুব ভাব নেওয়া পাবলিক।
আর বাকি যারা আছে তাদের ব্যবসা এমনিই চলছে, সেখানে তাদের আসলে কোনো কন্ট্রিবিউশন নেই; থাকলেও খুব সামান্য।
যতবার মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে স্টাডি, রিসার্চ করতে গিয়েছি, ঠিক ততবার ঘুরেফিরে বিজনেসের বাজারে ঢুকে হারিয়ে গিয়েছি।
অবশেষে বুঝলাম, বিজনেসের বাজারে যার অস্তিত্ব নেই, সে জীবনে ভালো মার্কেটার হতে পারবে না। আর বিজনেসের বাজার অনেক বড়; যেখানে আপনি যা চাইবেন তা যেমন পাওয়া যায়, তেমনি এই বিজনেসের বাজারে অভিজ্ঞ হতে হলে পটল থেকে শুরু করে আটা, তেল থেকে শুরু করে ঘি—সব কিছুর সার্বিক তথ্য-উপাত্ত আপনার নখদর্পণে থাকতে হবে। (তেল, ঘি এগুলো রূপক অর্থে ব্যবহৃত)।
বিষয় ২ঃ অমুক পেজের সেলস
অনেকেই আছেন যারা নিজের বিজনেস ছাড়া অন্য সকল বিজনেসের অবস্থা নিয়ে হতাশ থাকেন, ভাবেন: “হায়, ওদের ব্যবসা কত ভালো চলছে, ওরা এই এই মেথড ফলো করে না জানি কত দূর এগিয়ে গেছে। শুধু আমরাই এগোতে পারছি না, ওরা দিন দিন সেলস নিয়ে কত দূর চলে যাচ্ছে।”
কিছুদিন আগেই জানলাম, সাজগোজ মূলত কোনো প্রফিটেবল বিজনেস ছিল না, এটা ছিল ব্ল্যাক মানি কে হোয়াইট মানি করার একটা সিস্টেম। অথচ দূর থেকে অনেকেই ভাবতো, না জানি কত হাতি-ঘোড়া তারা পার করে ফেলছে।
এছাড়া অনেকেই ডিরেক্ট কম্পিটিটরকে দেখে হা-হুতাশ করেন, অথচ তাদের ইন্সাইডে যে মার্কেট যাই যাই অবস্থা, এটা বাইরের কেউ জানেই না।
আচ্ছা বলেন তো, গত ১০ বছরে হঠাৎ করে ব্যবসায় আসা কতগুলো ব্যবসা এখনো টিকে আছে?
মনে পড়ে কি? না, সত্যিই ভুলে গেছেন।
অথচ আপনি ই কিন্তু তাদের দেখে হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন।
তারা হারিয়ে গেছে, অথচ আপনার হতাশাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ঠিকই হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।